কেয়ারগিভারের দায়িত্ব ও কর্তব্য
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো কেয়ারগিভার পেশাটিকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করা। এবং দেশের বেকার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা ।
১। সেবাগ্রহীতাকে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সময়মত ঔষধ ও পথ্যাদি খাওয়ানো। ২। সেবাগ্রহীতার পালস, জ্বর, ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার, শ্বাস প্রশ্বাস ও অন্যান্য ভাইটাল সাইন মনিটর, রেকর্ড এবং রিপোর্ট করা। ৩। জরুরী প্রয়োজনে সেবাগ্রহীতাকে হাসপাতালে অথবা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। ৪। শয্যাগত / অজ্ঞান সেবাগ্রহীতাকে এপাশ ওপাশ করানো এবং ব্যায়াম করানো। ৫। সেবাগ্রহীতাকে ফিজিওথেরাপী প্রদান করা, ফিডিং টিউবে খাওয়ানো, নেবুলাইজ করা, অক্সিজেন দেয়া, ইনসুলিন দেয়া এবং প্রয়োজনে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস প্রদান করা। ৬। শ্বাস নালীতে খাদ্য বা পানীয় ঢুকে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া, বার্ন, ইনজুরি এবং অন্যান্য ইমারজেন্সীতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা। ৭। সেবাগ্রহীতার জন্য ক্যালরী হিসাব করে পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী বাজার করা, রান্না করা ও পরিবেশন করা। ৮। সেবাগ্রহীতাকে খাওয়ানো, গোসল করানো, ড্রেসিং, টয়লেটিং, সাজগোজ ইত্যাদি করানো। ৯। হাউজকিপিং, হাউজক্লিনিং, লন্ড্রিসেবা এবং বিভিন্ন স্থানে পরিভ্রমন করানো। ১০। সেবাগ্রহীতাকে বিছানা/হুইল চেয়ার/গাড়ীতে উঠানামা করানো। ১১। সেবাগ্রহীতাকে সার্বক্ষণিক সহচার্য প্রদান করা এবং তার যাবতীয় আদেশ নির্দেশ পালন করা। ১২। ব্যক্তিগত/অফিসিয়াল কাজ যেমন- ব্যাংকিং, লিগ্যাল ইত্যাদি কাজের জন্য সাহায্য করা। ১৩। সেবাগ্রহীতাকে হতাশায় শান্তনা দেয়া, চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা এবং অন্যান্য ইমোশনাল সাপোর্ট প্রদান করা। ১৪। সেবাগ্রহীতার আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রাখতে সহায়তা করা। ১৫। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী সেবাগ্রহীতাকে সার্বক্ষণিক তদারকি ও সহচার্য প্রদান করা।